Thikkabita9

Friday, January 1, 2021

ঠিক কবিতা ঌ : আশীষ মাহাত

 



আ শী ষ মা হা ত 

মন খারাপীর কান্না


আমার সাথে হাতের রেখার সম্পর্কটা 

কেবল সাদা কাগজে কাটাকুটির


মুখপোড়ার জমি নেই

                                বাপ-ঠাকুর'দা দীর্ঘদিন

                                                      গৃহত্যাগী ।।


শৈশব থেকে কৈশোর

                     আমার গ্রহ রাজের সাথে আড়ি


 অদ্ভুত পূর্বক বাবা রোজ দুমুঠো চাল এনে সংসার পাতে

আমি বাড়ি আনি রঙিন জল

                                      সামনে মুঠো ভর্তি উনুনের আঁচ.....

ঠিক কবিতা ঌ : রণ্দীপা সরকার

 



র ণ্দী পা স র কা র

মনের কথা 



অহরহ তুমি মনরে শোনাও

তোমার মুখের কথা,

কান পেতে শোন হৃদয় বীণায়

বাজছে প্রেমগাঁথা।


ভাড়াটিয়া তুমি, বাস কর অন্যের ঘরে 

ভাড়া যে তোমায় দিতেই হবে 

ফাঁকি দিয়ে পরবাসে 

কতদিন আর রবে।


আমারে না হয় নাই বা বললে

ভেঙে তোমার অহংপট।

আগলে রেখো বীণার তার

নিজেই তখন মূর্ছা যাবে

বাঁধবে যখন আলতো জট।


শ্বাস প্রশ্বাসে জপ যার নাম 

ভুলবে তারে হেলায় ফেলায়। 

দুদিন পরেই ছাড়বো এই ধাম

পান্থশালার পথিক সবাই। 


তখন তুমি গরিমা কে সাথী করে

যেয়ো যথা তথা ।

শুধু একবার শুনিয়ে যেয়ো 

মনরে মনের কথা।

ঠিক কবিতা ঌ : প্রনব রুদ্র

 



প্র ন ব রু দ্র

না ভাবাই ভালো!



পিঁপড়ে যুদ্ধ যুদ্ধ কামড়াচ্ছে কানের কুহরে 

চামড়ায় হুল ফোটাচ্ছে প্রতিবেশী মৌমাছি 

মাকড়সার জালে দেশাত্মবোধক পতাকা 

সারা শরীরে কাঁটাতারের কাঁকড়া বিছে… 


চা খেতে খেতে ভাবছি- হাসবো না কাঁদবো? 

ঘোলাজলে মাছ ধরবে কত কোকিল কোনদিকে!


খেলার পুতুল মনুষ্য জীবন, সব ছকেরই মানচিত্রে 

স্বদেশ প্রেমের পায়রা উড়িয়ে প্রিয়হারার বুক পুড়ে। 


এবার মুখোশ পড়ে বলি চিৎকারে, যে সব বিষয় 

ভাবায়; ভীষণ ভাবায়, ওগুলো না ভাবাই ভালো! 

ঠিক কবিতা ঌ : সৌমেন দেবনাথ


 


সৌ মে ন দে ব না থ

রক্তমাংসকথন


নরপিশাচের বাঘের আত্মা

উষ্ণ শরীরে উঁৎ পেতে থাকে সুযোগের অপেক্ষায়


সব সাধুর ভেতরেই পশুর বাস


বিধবা হয় অন্তঃসত্ত্বা 

ফুটপাতে পাগলীর কোলেও ঘুমায় পিতৃহীন শিশু

সভ্য কুমারীর কোলেও আসে দেবশিশু

কার্টুনে ভরে নাড়ী ছেঁড়া ধন ফেলে যায় মা,

ডাস্টবিনের মশা, মাছির কামড়ে কাঁদে শিশু 

মা তবুও পিছে আর ফেরে না

কলঙ্কে ভেজে না।


প্রেম হয়েছে ছিনালীপনা

প্রিয় মুহূর্তের ছবিও দেখে দুনিয়া। 


শরতের কাশফুল আর দোলে না

চৈতালী বাতাস নদীতে কুলুকুলু ঢেউ তোলে না

আমি বিকালের মরা আলোয় মুখ লুকাই

আমি এসব দেখে-পড়ে বাঁচবো না

আমি পাগল হয়ে যাবো

তার আগে নেবো ইচ্ছামৃত্যু।

ঠিক কবিতা ৯ : অমিত পাটোয়ারি




 অ মি ত পা টো য়া রি


নাট্যকারের সন্ধান থেকে হত্যালীলা


কলকাতার এক বিখ্যাত নাট্যনির্দেশক

আর এক বিখ্যাত নাট্যকার তথা সমাজতত্ত্ববিদকে

কখন একটা পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করেছেন

আমরা জানতাম না।

আমরা যখন প্রত্যেকের ঘরের নিজস্ব মঞ্চে চোখ খুললাম ,

দেখলাম , বিখ্যাত নাট্যকার কাতরাচ্ছেন আধশোয়া হ’য়ে ...

এবং ওই নাট্যনির্দেশক শুধুই রাগে গজরাতে গজরাতে

বলছেন , ন্যাকামি! ন্যাকামি!

                             এসব সহ্য হয় না আর

অর্থাৎ স্রেফ ন্যাকামি সহ্য করবেন না ব’লে

এই উন্মুক্ত হত্যাকান্ডের চেষ্টা!


নাট্যকার বললেন , কী চাও ?

নির্দেশক তখন বাবা মা স্ত্রী পুত্র এবং ভাবী পুত্রবধূর

সঙ্গে নতুন প্রযোজনা বিষয়ে আলোচনা করছিলেন।

নাট্যকার বললেন , শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের দুষ্প্রাপ্য খন্ডটি

                                                     নেবেনা ?

নির্দেশকের চোখ জ্বলজ্বল ক’রে উঠলো —

মুমূর্ষু নাট্যকার আরও ভীষন কাতরাতে লাগলেন দেখে

নির্দেশক তাঁর মৃত বাবাকে স্মরন করলেন ...


... ক্যাথলিক চার্চের ছাদে ঝড়ে ভেঙে যাওয়া জানলার কাচ আমার পা’য়ে গেঁথে গ্যালো। পুরুষের শরীরের রক্তপাত বিষয়ে লেখালেখি বড়ই শিল্পদ্রব্যহীন। ভীষন ন্যাকামি মনে হ’তে পারে। এই ভেবে , খাড়া মই-এর মতো সিঁড়ি দিয়ে আমি নেমে আসছি ...


পায়ের ব্যান্ডেজ বাঁধতে বাঁধতে আমার নাট্যকার বন্ধু হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো , বিদ্যাসাগরের বংশধরেরা কেন এত ন্যাকামি করে ব’লতে পারো ?

ঠিক কবিতা ৯ : গোবিন্দ মোদক




গো বি ন্দ মো দ ক

 বধ্যভূমি


আজ আমাকে শেখানো হয়েছে ---

                     দিতে হবে সেই সব কিছু,

যা এতদিন ছিল সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব .... 

সেই সব দিতে হবে অবহেলে ....

দিতে হবে স্তন, দিতে হবে যোনি,

দিতে হবে শরীরী কোমলতা আর শর্তহীন সমর্পণ ; 

কোনও প্রশ্ন করা চলবে না ....

ভবিতব্যের মতো এগিয়ে যেতে হবে যূপকাষ্ঠের দিকে ....

নিরাপরাধা জানতেও পারবে না

             কী ছিল তাঁর অপরাধ !

বিচার শেষ হয়ে যাবে অচিরেই ....।


           ***          ***          ***


শোনো পিতৃলোক ! শোনো মাতৃলোক !

আজও ঘটে চলে এমনই এক-একটা 

বৈধ মানসিক বা শারীরিক হত্যাকান্ড, 

অথচ প্রায় সকলেরই থাকে তাতে দুরন্ত সায় ! 

ঠিক কবিতা ঌ : জিল্লুর রহমান

 



জি ল্লু র র হ মা ন


কেউ একজন


কেউ একজন প্রেমে পড়েছিল,

দুদণ্ড সময় পাশে বসার আকুল প্রয়াস চালিয়েছিল।

কেউ একজন কাছে আসার গল্পে আমায় জড়াতে চেয়েছিল,

চেয়েছিল তার স্বপ্নজাল বুননে বাঁধিয়া রাখিতে।

মাঝে মাঝে নীল শাড়ি পড়তো,নীল যে আমার ভীষণ প্রিয়।

নাসিকার নিচে গোলাপরাঙা ঠোঁটস্টিক,

আমার পছন্দের বাইরে, তার অজানা।

দুটি মন এক করার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।

আমার সাথে পথচলার আনন্দ উপভোগ করতে চেয়েছিল,

চেয়েছিল বাহুডোরে আপন করে নিতে।

আশ্রয় দিতে চাওয়া মন,আশ্রয় দেয়নি,

দেবো কিসে? বেন্নাপাতার ঠুনকো ছাউনিতে ঠায় দেওয়া,না দেওয়ার মাঝে সমান ফারাক।

যে ভালোবেসে কাছে ডাকে,শত্রু হলেও মায়া পড়ে যায়,

সে তো তা ও নয়,কি করে কষ্টের বেড়াজালে আটকে রাখি!

অপলক দৃষ্টিতে তার দৃষ্টির অগোচরে তাকাতাম।

কিছু ভালোবাসা,ভালো লাগা না হয় দূর থেকে উপভোগ করি।

কাছে গেলে যে ম্লান হয়ে যাওয়ার প্রচন্ড ভয়।।

ঠিক কবিতা ৯ : রতন বসাক

 



র ত ন ব সা ক 

অনেক কষ্টের


অর্থ কামাই করার জন্য

জিনিস পত্র বেচি,

হাঁটতে হাঁটতে বোঝাটা নিয়েই

সবার বাড়িতে গেছি।


কেউবা কিনেছে কেউবা বলেছে

পরে আসবেন ভাই,

ঘরের কর্মে ব্যস্ত আমরা

সময় কারোর নাই।


রোদের জ্বলন বৃষ্টি ভিজেই

কাজটা করছি রোজ,

ছেলে মেয়ে বউ সবার দায়টা

আমার মাথার বোঝ।


দামটা পাইনি মনের মতোন

যেমন চেয়েছি আমি,

দেখার পরেই বলছে আমায়

নয়তো এসব দামী।


তবুও বেচার চেষ্টা করেছি

পাবার জন্য টাকা,

একটাও যদি বেচতে না পারি

জীবনটা হবে ফাঁকা।


ব্যবসা করাটা নয়তো সুখের

কষ্ট অনেক আছে,

চাকরীর মতো নেইতো আরাম

যে যাই বলুক পাছে।

Thursday, November 26, 2020

ঠিক কবিতা ৯ : সম্পাদকীয়

 

                                           চিত্র ঋণ : প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী 

সম্পাদকীয়✍

মায়া ছড়াও রাত্রি, মায়া ছড়াও
ঝিনুকের গর্ভে
সন্তর্পণে এসো। মুক্তো ফলাও।

~পিন্টু মুকুল
সম্পাদক
ঠিক কবিতা নয় 


Tuesday, November 17, 2020

ঠিক কবিতা ৯ : অমিত চক্রবর্তী

 



অ মি ত চ ক্র ব র্তী

ষড়যন্ত্র ও প্রেমের কবিতা


 

ষাট বছর বয়সে কেউ প্রেমের কবিতা লেখে? এ সবই কমলিনী

আর লরা এঙ্গেলের ষড়যন্ত্র। দীর্ঘ ক্রমভঙ্গের পর আবার গান

কমলিনীর, আকুলতার টান। বহুদিন আগে শৈলেন দাস, তিনি

শিউরে ছিলেন বনরাজি, কমলিনীর সমান স্থান

চন্দ্রকরে হাসি ফুটিয়ে। আমি শুধু চঞ্চলতায় শিউরে উঠি;

ঘরে মন টেঁকেনা, উধাও হয়ে মেঠো পথে হেঁটেই চলি

সারা সকাল। এ মধুর প্রহারও বুঝিবা যথেষ্ঠ নয়, জুটি

বেঁধে হাজির লরা এঙ্গেল, একই দিনের সন্ধ্যাকলি ।

কি করে কেউ গায় এমন? কি সমর্পনে বেরিয়ে আসে

এই আকুল স্প্যানিশ গান বেসামে মুচো, চুমু দাও অঢেল?

আমি ফের বিস্ময়ে মগ্ন হই, কোনোদিন লিখবো না হতাশে

আর, ভালবাসা পাই বা না পাই, মনে থাক এই মুগ্ধ বিকেল,

অভিজ্ঞ, প্রবীণ বয়সেও। সে যদি মনে রাখে ভালো, নাও যদি রাখে

প্রেমের কবিতা, শুধুই প্রেমের কবিতা, অঘ্রাণে কি বৈশাখে। 

Friday, November 13, 2020

ঠিক কবিতা ৯ : অমিতাভ দাস

 




অ মি তা ভ দা স

পাখি পুরাণ-২





পাখিকে সুন্দরীর কথা বললাম । সুন্দরীকে পাখির কথা। একজন শহরে থাকে , অন্যজন গ্রামে । কালনা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া অথবা চুঁচুড়া থেকে চাঁদিপুর-- আমাদের আসমুদ্র বিস্ময়ের ভিতর এক হরিদ্রাভ সুর রিন রিন বেজে যায় । রামপ্রসাদের হালিশহরের একটা লিংক আছে। পঞ্চবটীতলা সাধনার সিদ্ধিভূমি । মানব জমিন পতিত অবস্থায় রেখেই আমাদের চলে যেতে হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে । 'গল্পসল্পের আটচালা' থেকে উড়ে আসা সেই বিশুদ্ধ গল্পের বাতাস আমাদের করোনা আবহে মুক্তি দিতে পারত । অথবা শীতের স্ট্যান্ড রোড-- রাতের মায়াবী আলোর নীচে ঝরে আছে পাতা। চার্চের বিনম্র মেঝেতে দাঁড়িয়ে কতদিন দেখিনি প্রভু যীশুর হাসিমুখ । এসো, আজ মোমবাতি জ্বেলে দিই এই মনখারাপের বিজন ঘরে...

ঠিক কবিতা ৯ : অর্ঘদীপ পানিগ্রাহী


 


অ র্ঘ দী প পা নি গ্রা হী

বৃষ্টি বয়ে যায়


 


জানালার ধার | আজ বড্ড তোকে মনে পড়ে | জানালার পাশ আর বৃষ্টি বড্ড প্রিয় ছিল | আগের বছর জুলাই সবে বর্ষা নামল| তোর মামাবাড়ি ছিল আমার বাড়ির পাশে , তোকে নিয়ে ফেরা | জানালার পাশে বসার জন্যে কি মারামারি না করলি , শেষে ছাড়তে হল | আর তার পর থেকেই সেই জলকুচিদের সাথে তোর সখ্যতা ..ভেজা চুল ঠিক'রে ওদের না বলা কথারা ..আমি যতবার বলি আর না ..ঠান্ডা লাগবে ..আর তখনই এক খাবলা উন্মত্ত ফোঁটা ..তোর ভেজা শরীর আর চিবুক বেয়ে বয়ে যায় কথায় চেপে বৃষ্টি ...শেষে নামলাম ..আকাশ তখন কিছুটা হাসছে ...রাস্তার কিছু আগে তোকে দিয়ে ফিরে আসা বাড়ি ..পরের দিন থেকে তোর জ্বর .. একবার গিয়ে সবার অলক্ষ্যে আচ্ছা ক'রে বকে মাথায় হাত বুলোতে ভুলি নি ...দিনগুলো কেমন আজ ভুলে গেছে আমায় .. যেমন তুই ভালবাসা ভুলেছিস্ অন্য কোথাও...

ঠিক কবিতা ৯ : আশীষ মাহাত






 আ শী ষ মা হা ত

মধ্যবিত্তের কথা



ইদানিং রান্না করতে গিয়ে ছ্যাঁকা খেলেই

ভীষণ রকম ভাবে মা'র কথা মনে পড়ে


মা-ও কেমন ছ্যাঁকা খেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে

বসে থাকতেন আমাদের লুকিয়ে


স্কুল ছুটির সময় মার সাথে রান্না ঘরে গল্প করতে গিয়ে প্রথম দেখে ছিলাম

গরম তেলে মার হাত কি রকম ফুলে এসেছিল


আমরা মধ্যবিত্ত বাঙালি


শীতের দিনে শীত চাষ করি

গরমে আগুন

ঠিক কবিতা ৯ : প্রসাদ সিং

 




প্র সা দ সিং 

বেদনা প্রসঙ্গে 

প্রাক্তনী প্রেমিকা , নিন্দুকদের অসংখ্য ধন্যবাদ 

মাটির সাথে নুড়ি , পাথর লাগে ভিত শক্ত হতে

নাহলে দাঁড়াচ্ছেনা তোমার কেল্লা শক্ত পায়ে 


যদিও বেদনাকে ঘৃণা করে অনেক কবিতা হয়েছে 

আজ বেদনাকে ভালোবাসি অানন্দের মতো 

বেদনা আসলে গ্রহণযোগ্যতার নামান্তর মাত্র 


আজকাল জিইয়ে রাখি বেদনার লাল ক্ষত 

ঢাকি না টি-শার্ট বা কবিতা দিয়ে 

অক্ষর ও রঙে আরও আরও রঙিন হয় বেদনা 

ঠিক কবিতা ৯ : উদয় শংকর দুর্জয়

 




উ দ য় শং ক র দু র্জ য় 

আলপিনে জড়ানো জ্যোৎস্না 




জোস্নার আলপিন বিঁধে আছে অযুত কাল ধরে, রেটিনার চারপাশে;

একফোঁটা কান্নার হ্রদে, ভেসে আছে নিস্তব্ধ পাঁচতলা জাহাজ।

দুপুরের রঙ ছুটে আসে বিভ্রান্তি ফেলে, একপাল নীল ঘোড়া হয়ে;

প্রত্যাহ আকাশ ভাঙে কলতান রুখে, নিশ্চুপ ক্লান্তির ফিনিক্স বেহাগ।


পাল্টাতে এসে মৃদু কলরোল, থেমে গ্যাছে উল্লাসের দল;

ভাব্বার বিষাদ লিখে, ফিরে গ্যাছে সোনালি আলবাট্রাস।

কখন যেন স্টারলিং সুর চুরি করে গায়, স্বর্নচাপার গান,

এক অষ্টাদশী রোজ তাড়িয়ে বেড়ায় নিরুদ্দেশি পেগাসাস।


ত্রিকোণী রোদ্দুরে ভেজাতে আসা অঞ্জলির গৃহদ্বার,

বিববর্ণ বেহালায় পড়ে থাকে বিভ্রমের কলতান।

আর চাইলেও নিকষ ফেরি, উড়ে আসবে না, ছেড়ে পাটাতন।

এক অন্যযানে, সমুদ্র থেকে তুলে নেবো, ধুলো সমেত রুপোলি মনিহার।।

ঠিক কবিতা ৯ : প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ

 




প্রা ণ কৃ ষ্ণ ঘো ষ

ভোর



ঝরে যাওয়া গাছের পাতা

নতুন জীবনের কথাই বলে

ভঙ্গুর সেতু পেরিয়ে গেলে

সবুজ জীবন আসে

প্রজাপতির মতো ডানা মেলতে মেলতে

পেরিয়ে যাওয়া যায়

নিবিড় আলপথের গাম্ভীর্য

জোনাকিরা পথ খুঁজে পেলেই

নরম শিশিরে ভোর জেগে ওঠে

ঠিক কবিতা ৯ : প্রনব রুদ্র

 



প্র ন ব রু দ্র

নুপূরের ঝর্ণা 


বেশ উত্তাপ পরিবেশের 

                                  গায়ে 

শরীরে মনে ভয় ভয় 

                                 ঠান্ডাস্রোত 

মহামারী হাওয়া শুষে 

                                সংসারী আয়েস

প্রেমিকা শুষে যায় হৃদয় 

                                কিছু ব্যথায় আড়ষ্ট থাকি।


পরিমিত ভালোবাসার স্নিগ্ধদিনগুলি

                               চেকমেট ক্লাইম্যাক্সের আশায় 

পরাজিত লক্ষাধিক আমি  

                               হাঁটু গেড়ে স্থাণুবৎ প্রেমের সামনে 

যদি দেবী বামহাতেও ছুঁড়ে দেয় ফুল 

                               ভাতের ফ্যান খাবো ঝেড়ে কালি ধূল 

সব রোমাঞ্চ শেষ হয়ে যায়নি এখনো

ভালোবাসার রোদেলা নুপূরপায়ে ঝর্ণারমতো তুমি ঝরবে ঠিক কোনখানে

ঠিক কবিতা ৯ : শুভজিৎ দাস

 



শু ভ জি ৎ দা স 


নীলাভ মন


হয়তো বা মনের কোনো রং আছে ,

        হয়তো বা নেই ।

এইভাবে হয়তো এর কোন মানেও নেই, 

হয়তো বা এর কোন অর্থও রয়েছে কোথাও ।

হয়তো বা এই রং এর কোনো অস্তিত্ব নেই,

হয়তো এর অস্তিত্ব রয়েছে মনের কোন

গভীর সূক্ষ্ম কোণে ....কে জানে?

কেউ হয়তো বলে এই নীলাভ মানে,

অসীম শূন্যতার ছড়াছড়ি,

সুগভীর বেদনায় জড়াজড়ি।

আবার কেউ বলে নীলাভ মানে ,

যেখানে শুধু অপূর্ণতার স্বাদ, 

আর শুধু অতৃপ্তি আর আকাঙ্খার বাধ।

তাহলে তাই হবে হয়তো .....


তাহলে হয়তো পরিনয় না পাওয়া 

প্রত্যেক ব্যর্থ প্রেমের মধ্যেও 

কোথাও নীলাভ মনের অস্তিত্ব রয়ে গেছে ।

হয়তো কোনো পরিনয় পাওয়া প্রেমও 

যখন সামান্য ঝড়ে উড়ে যায় 

সেখানেও হয়তো উঁকি মারে সেই নীলাভতা।

তাহলে এই পরিনয়ে বীজ থেকে অঙ্কুরিত

ফসলরেরাও শৈশবেই স্বাদ পায় এই নীলাভতার।

হয়তো সংসারের চাপ মুখ বুঝে সহ্য 

করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষগুলো

মনেও ছোঁয়া দেয় সেই নীলাভতা ।

হয়তো ব্যস্ত শহরে একাকিত্বে ভোগা বৃদ্ধ মানুষগুলোর মনটাকেও গ্রাস করে এই নীলাভতা।


এই নীলাভতার অদৃশ্য চাদরে হয়তো 

আশেপাশের কত মানুষই ঢেকে রয়েছে ,

কেউ হয়তো নীলাভতাকেই সঙ্গী করেছে 

নিজের বাঁচার তাগিদে বা

অপরকে গড়ে তোলার খাতিরে।

আর কেউ নীলাভতা মায়াবী জালে জড়িয়ে 

গেছে নিয়তির আহ্বানে।।

Tuesday, October 13, 2020

ঠিক কবিতা ঌ : দ্বিতীয় সংখ্যা


 

ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা


সম্পাদকীয়


● সূচিপত্র 


অমিতাভ দাস


উদয় শংকর দুর্জয়


আশীষ মাহাত


তাপসকিরণ রায়


বিকাশ বর


চাঁদ রায়


সুনন্দ মন্ডল


অভিষেক ঘোষ


বিনোদ মণ্ডল

■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■

কবিতা পাঠানোর নিয়মাবলী

বি.দ্র. - আমাদের দ্বিতীয় সংখ্যাটি প্রকাশিত হল। তৃতীয় ও চতুর্থ সংখ্যা প্রকাশিত হবে December ও January মাসে প্রকাশিত হবে। 


ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ঌ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : সম্পাদকীয়

 



চিত্র ঋণ : সৌমিতা মন্ডল 


সম্পাদকীয় 


শরতের মেঘের মতোই পুঞ্জিত হোক কবি-জীবন...


~~পিন্টু মুকুল 

সম্পাদক 

ঠিক কবিতা নয় 

ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : উদয় শংকর দুর্জয় 

 





আগুন ভর্তি জাহাজ


উদয় শংকর দুর্জয় 


এক অষ্টাদশী সমুদ্রদুহিতা;

পিঙ্ক-স্ট্রব্রেরি জমা করে দীর্ঘ করেছ স্তন-সমুদয়। 

দুর্নিবার স্রোতের বিপরীতে তুমি নিভিয়ে রেখেছ 

আকাঙ্ক্ষার জলাঞ্জলি, উন্মাদ সূর্যের কাছে স্টারডাস্ট(কল্পনানুভূতি) ধার করে

বৃন্তের বেহালায় সাজিয়েছ 'সিরিয়াস'(উজ্জ্বলতম তারা)।- বাঁক থেকে 

নেমে যাওয়া রেডিয়াম প্লানেটস, এক সজ্জা-ছায়ার পাদদেশে 

অবসর বিলাস লিখিয়েছে ব্যাসার্ধের পরিচয়।

বহ্নিভরা কামনার 'আইল অফ হোয়াইট' ছেড়ে গ্যাছে

সাত-সাতটি আগুন ভরা জাহাজ। সেই কোন সময়!  ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : অমিতাভ দাস








পাখি পুরাণ-১


অমিতাভ দাস


পাখির সঙ্গে দেখা হয়নি ১৯১ দিন ।মানে ছয় মাস ১১ দিন । তার মধ্যে করোনা ভাইরাস এলো। ভ্যাকসিন এলো না। ভারত-চিন যুদ্ধের দুন্দুভি বেজে বেজে থেমে গেল । মৃত্যু হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে গেল । ট্রেনের চাকা বাসি রুটি খেতে চেয়েছিল । সামান্য মানুষ আমি লাইভে এসেছিলাম কয়েক বার । পাখি গ্রন্থ-সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল । লাল-নীল -সাদা হরেক কিসিমের মুখোশ কিনেছিল । আবার কেউ কেউ লক ডাউনের মধ্যে মুখোশ খুলে ফেলেছিল । প্রকৃত মুখ দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম । পাখির সঙ্গে উপন্যাস নিয়ে কথা হয়নি আর । পাখির কাছে হেঁটে যেতে পারিনি কখনো । পাখি আমাকে ভূতের গল্প শুনিয়েছে , আমি তাঁকে ভারতের স্বাধীনতার গল্প বলেছি। আমাদের গল্পের ভিতর স্বপ্নমাখা এক নদী ছিল। সমুদ্র ছিল।আর ছিল অযোধ্যা পাহাড়। ভালোবাসার বিচূর্ণ সৈকতভূমি । দেবী সিদ্ধেশ্বরীর নিজস্ব এলাকায় বট-তুলসী-পাকুরের মায়া-নিশি। আমাদের বিলম্বিত ওড়াউড়ির মধ্যে কেবল রামপ্রসাদ- রামমোহন আর সিমলাগড় রাজবাড়ি কেন যেন ঢুকে পড়েছিল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে...
ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : আশীষ মাহাত

 





গাছ


আশীষ মাহাত 



ঠাকুমা আর ঠাকুরদা মিলে বাড়ি উঠোনে

একটি গাছ পুঁতে গেছে দীর্ঘকাল আগে


এখন গাছটা পাহাড়ের মতো বড় হয়ে

ফলফুল ডাল পালায় দীর্ঘ বিস্তার করেছে


আমি আর ভাই মিলে সকালের ঘ্রাণ থেকে

আমাদের সমস্ত প্রয়োজনী তুলেনিই


শেকড় টুকু বাদে । জানি শেকড় কেটে নিলে

আমরা সর্বহারা হয়ে পড়বো


হঠাৎ একদিন দেখি

দিনের পর দিন রোদের প্রখর তাপে


দাঁড়িয়ে থেকে থেকে গাছটার ভিতরে ফুটে উঠছে

 প্যারালাইসিস বাবার প্রতিচ্ছবি

ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : চাঁদ রায়

 





ব্রহ্ম ডাঙা

চাঁদ রায়

নদীর নীচে মৎস্যগন্ধা আর
নদীর ধারে ঘর ভাঙা
ভাঙা সেসব ঘর গুলো আজ
মনের ব্রহ্ম ডাঙা। 
তরঙ্গ উঠেছে তরঙ্গের পর
স্পষ্ট সাত বর্ণ
ভাঙা ঘরে সূর্য খেলে
ধাতু যেন স্বর্ণ। 
নদীর ধারে বাগান আর
ফুলের মিষ্টি গন্ধ
জগৎ জুড়ে গানের সুর
যুদ্ধ করুক বন্ধ। 
ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : সুনন্দ মন্ডল

 





বাদ্যযন্ত্র

সুনন্দ মন্ডল

সব রাস্তার শেষে বাঁক মেলে
বাঁকের শেষে আবার সুদীর্ঘ রাস্তা।

পায়ে পায়ে ছুটে চলা সভ্যতারও
নিজস্ব বাঁক আছে প্ৰতিটা সংস্কৃতিতে।

সংস্কৃতির ছাপোষা সুরে
মিশে যায় নালার জল।

পড়ে থাকে ধুলোকণা
মাটির ওপর শক্ত ভিতে।

লোভ ও দাম্ভিকতার মিশেলে
গড়ে তোলে কেউ স্বতন্ত্রতা।

কেউ পিছলে গিয়ে পড়ে থাকে
ঝরে পড়া পাতার মতোই গাছের নীচে।

প্রকৃতির আঁচলে উৎসবে মানুষ মিলেমিশে একাকার
তবে বাদ্যযন্ত্রের মতো ভিন্ন সুরে তাল দেয় মানুষই।
ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : বিকাশ বর





কবিতার জন্মের অপেক্ষায়


বিকাশ বর

বর্ণগুলো চোখের সামনে ভাসে--
এলোমেলো শব্দ তৈরি হয়, আবার মিলিয়েও যায়
স্পষ্টভাবে ধরতে পারি না শব্দ, ছন্দ--
জলতরঙ্গে শব্দ ভাঙে, ভাবনা থমকে দাঁড়ায়
কবিতার মৃত্যু ঘটে পলে পলে।
পায়ের তলায় বয়ে যাওয়া নদীর স্রোত টের পাই
অথচ, পা ভেজাতে পারিনা শত চেষ্টাতেও!
হাপিত্যেশ করে বসে থাকি নদীর পাড়ে
এক ফোঁটা জলের আশায়, একবুক পিপাসা নিয়ে
রোজ, রোজ ফিরে আসি নিজের পায়ের তলায়।
তবুও পাড় ভাঙে, উদ্দাম জলস্রোতে প্রতিদিন--
নদীগর্ভে মিলিয়ে যায় ঘরবাড়ি গৃহস্থালি-
কলম হাতে বসে থাকি কবিতার জন্মের অপেক্ষায়
অস্থির শব্দগুলো ধরতে গেলে, সময় হেসে ওঠে
বলে, অস্থির সময়ে কী আর কবিতার জন্ম হয় !
ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : অভিষেক ঘোষ

 




ভালোবাসি

 অভিষেক ঘোষ


শুধু একটা শব্দ...  'ভালোবাসি'
উচ্চারণ-মাত্রই মাথা নীচু করে নেয়,
সমস্ত উচ্ছৃঙ্খল যুবক  ।

অনাদরে ক্ষয়ে যেতে বসা হৃদয়ে
অবদমনের শুঁয়াপোকা বদলে যায় 
রামধনু-রঙা প্রমত্ত প্রজাপতিতে...  ।

আবেশে-আদরে দোল খেয়ে ওঠে সমস্ত 
তরুণ তরুর মাথা,  সবেগে নত হয় ফুলগুলি,  
নিবেদনের মাধুর্য নিয়ে কোলে ঝরে পড়ে  ।

বার্ধক্যের বিব্রত,  করুণ,  কুঞ্চিত চর্মে
জাগে সবুজের উদ্ভাস !

তাই... ভালোবাসতে শেখার মানে,
কচি পাতার সোহাগ প্রাণে...
সহস্র স্নিগ্ধ সুরভি ঘ্রাণে
আর পা ফেলা অসাবধানে  !
ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : তাপসকিরণ রায়

 




ঘোড়ার ডিম

তাপসকিরণ রায়

 

একটা ঘোড়ার ডিম জন্ম নিচ্ছে--

তুমিও তোমার চোখের আড়ালে সৃষ্ট হচ্ছে গভীর অতল

তোমার তোলপাড় ভাবনাগুলি একত্রিত জটপাক খাচ্ছে

সত্যি কেমন মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে, নকলে কেমন রং চড়ছে দেখো !

একদিন দেখতে পেলে তুমি শ্যামপটে এক সাদা আস্তরণ,

আর কোন রঙ রছে না সেখানে।  

শুধু একটা রং তোমার চোখের সামনে

অথবা চোখের মধ্যে তুমিও অদৃশ্য হয়ে যেতে পারো।

আছি, নেই-এর মাঝখানে চোখের সাদা এক পরত

কথার বেচাকেনা, তুমি লাল তরলে চুমুক দিয়ে দেখলে, অনিষ্ট,

তোমায় অনেকগুলো রং ছেঁকে ধরছে।

শেষপর্যন্ত অন্ধকার, আবার আলো ফোটার সময় এলো,

তখন তুমি নেই--অনর্থক মাঝখানের আবৃত্তিগুলি খুঁজে ফিরছ।

একদিন প্রত্যুষে জেগে উঠে দেখলে, দিকবলয়ের কাছাকাছি

সাদা গোলাকার একটা ডিম ফুটে উঠছে, আবার মিলিয়ে যাচ্ছে,

সেটা আকারে বৃহৎ ও শূন্যাকার

তুমি প্রত্যুষের আধো-আলো অন্ধকারে ঠাওর করতে পারছিলে না--

আসলেই সেখানে একটা ঘোড়ার ডিম জন্ম নিতে নিতে বারবার ভেঙে পড়ছে ! 
ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

ঠিক কবিতা ৯ : বিনোদ মণ্ডল




অকৃত্রিম ভালোবাসা

বিনোদ মণ্ডল 


তুমি কি পারবে বলো....
এই প্রকৃতিতে আমায় তেমন করে ভালোবাসতে?

ঠিক যেমন করে পাহাড়ি ঝর্না ভালোবাসে নদীকে নদী ভালোবাসে নীল সমুদ্রের মায়াবী হাতছানি,
আবেগে মিশে যায় দুজনে মোহনায় 
মিলেমিশে হয়ে যায় একাকার


যেমন করে চাঁদ ভালোবাসে পৃথিবীকে, 
পূর্ণিমা রাতে ধারকৃত মলিন আলোক মালা দিয়ে
সাজিয়ে দেয় তার প্রতিবেশী পৃথিবীকে 
স্বপ্নালু আলোয় উদ্ভাসিত করে রাখে একদিক

যেমন ভাবে শিকড় ভালোবাসে মাটিকে,
সকলের অগোচরে চুপিসারে 
একটু একটু করে পৌছে যায়, 
মাটির অনেক গভীর থেকে গভীরতর অন্ধকারে

যেভাবে আকাশ ভালোবাসে মেঘেদের 
তার বুকে জায়গা করে দেয় অবিরাম অনবরত,
যাতে মুক্ত বিহঙ্গের মত উড়ে বেড়াতে পারে মেঘ
আকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে আনন্দে

যেভাবে সবুজ ভালোবাসে বৃষ্টিকে
সবুজের ডাক শুনে বৃষ্টিধারা
নেমে আসে রিমঝিম নুপুরের ছন্দে 
সবুজ হয়ে ওঠে আরও সবুজাভ আরও চঞ্চল

জেনো, তোমার ভালোবাসার শিকলে
ঠিক সেভাবেই আমি বাঁধা পরতে চাই বারবার।

ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা ঠিক কবিতা ৯ : দ্বিতীয় সংখ্যা

Thursday, October 8, 2020

কবিতা পাঠানোর নিয়মাবলী

ঠিক কবিতা নয় কবিতা পাঠানোর নিয়মাবলী.

 

প্রতিমাসে ঠিক কবিতা নয় এর একটি করে সংখ্যা প্রকাশ করা হবে । যখন খুশি যে কোনো সময় কবিতা পাঠান। মনোনীত হলে জানানো হবে,  না হলেও জানানো হবে। কবিতা পাঠানোর ঠিকানা ghmukul@outlook.com

নিয়মাবলী:-
1) কবিতা মেলবডিতে টাইপ করে দিতে হবে
2) কবিতার সাথে নিজের নাম, ছবি, ঠিকানা, ফোন নম্বর দিতে হবে



ঠিক কবিতা ৯ : প্রথম সংখ্যা

 

ঠিক কবিতা ৯ : প্রথম সংখ্যা

সম্পাদকীয় :

শব্দ জাগছে। আঁধার ভ্রুকুটি থেকে জাগছে আলো। ঘুম ভাঙছে। ঘুমের ভিতর থেকে বাসল কেউ ভালো....


মাটিতে পড়ে মন্দার একাই আলো ছড়াল

--- পিন্টু মুকুল 
সম্পাদক 
ঠিক কবিতা নয় 


******************************


সূচিপত্র: