অমিতাভ দাস
পাখির সঙ্গে দেখা হয়নি ১৯১ দিন ।মানে ছয় মাস ১১ দিন । তার মধ্যে করোনা ভাইরাস এলো। ভ্যাকসিন এলো না। ভারত-চিন যুদ্ধের দুন্দুভি বেজে বেজে থেমে গেল । মৃত্যু হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে গেল । ট্রেনের চাকা বাসি রুটি খেতে চেয়েছিল । সামান্য মানুষ আমি লাইভে এসেছিলাম কয়েক বার । পাখি গ্রন্থ-সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল । লাল-নীল -সাদা হরেক কিসিমের মুখোশ কিনেছিল । আবার কেউ কেউ লক ডাউনের মধ্যে মুখোশ খুলে ফেলেছিল । প্রকৃত মুখ দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম । পাখির সঙ্গে উপন্যাস নিয়ে কথা হয়নি আর । পাখির কাছে হেঁটে যেতে পারিনি কখনো । পাখি আমাকে ভূতের গল্প শুনিয়েছে , আমি তাঁকে ভারতের স্বাধীনতার গল্প বলেছি। আমাদের গল্পের ভিতর স্বপ্নমাখা এক নদী ছিল। সমুদ্র ছিল।আর ছিল অযোধ্যা পাহাড়। ভালোবাসার বিচূর্ণ সৈকতভূমি । দেবী সিদ্ধেশ্বরীর নিজস্ব এলাকায় বট-তুলসী-পাকুরের মায়া-নিশি। আমাদের বিলম্বিত ওড়াউড়ির মধ্যে কেবল রামপ্রসাদ- রামমোহন আর সিমলাগড় রাজবাড়ি কেন যেন ঢুকে পড়েছিল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে...
No comments:
Post a Comment