অ মি ত পা টো য়া রি
নাট্যকারের সন্ধান থেকে হত্যালীলা
কলকাতার এক বিখ্যাত নাট্যনির্দেশক
আর এক বিখ্যাত নাট্যকার তথা সমাজতত্ত্ববিদকে
কখন একটা পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করেছেন
আমরা জানতাম না।
আমরা যখন প্রত্যেকের ঘরের নিজস্ব মঞ্চে চোখ খুললাম ,
দেখলাম , বিখ্যাত নাট্যকার কাতরাচ্ছেন আধশোয়া হ’য়ে ...
এবং ওই নাট্যনির্দেশক শুধুই রাগে গজরাতে গজরাতে
বলছেন , ন্যাকামি! ন্যাকামি!
এসব সহ্য হয় না আর
অর্থাৎ স্রেফ ন্যাকামি সহ্য করবেন না ব’লে
এই উন্মুক্ত হত্যাকান্ডের চেষ্টা!
নাট্যকার বললেন , কী চাও ?
নির্দেশক তখন বাবা মা স্ত্রী পুত্র এবং ভাবী পুত্রবধূর
সঙ্গে নতুন প্রযোজনা বিষয়ে আলোচনা করছিলেন।
নাট্যকার বললেন , শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের দুষ্প্রাপ্য খন্ডটি
নেবেনা ?
নির্দেশকের চোখ জ্বলজ্বল ক’রে উঠলো —
মুমূর্ষু নাট্যকার আরও ভীষন কাতরাতে লাগলেন দেখে
নির্দেশক তাঁর মৃত বাবাকে স্মরন করলেন ...
... ক্যাথলিক চার্চের ছাদে ঝড়ে ভেঙে যাওয়া জানলার কাচ আমার পা’য়ে গেঁথে গ্যালো। পুরুষের শরীরের রক্তপাত বিষয়ে লেখালেখি বড়ই শিল্পদ্রব্যহীন। ভীষন ন্যাকামি মনে হ’তে পারে। এই ভেবে , খাড়া মই-এর মতো সিঁড়ি দিয়ে আমি নেমে আসছি ...
পায়ের ব্যান্ডেজ বাঁধতে বাঁধতে আমার নাট্যকার বন্ধু হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো , বিদ্যাসাগরের বংশধরেরা কেন এত ন্যাকামি করে ব’লতে পারো ?
No comments:
Post a Comment